জায়ান্ট কোম্পানি গুগল এর ১০ টি এপপ্স – Top 10 apps by Google
আজকে আমরা যে বিষয় টা নিয়ে কথা বলবো সেটা হচ্ছে জায়ান্ট কোম্পানি গুগল এর তৈরী কৃত ১০ টি এপপ্স ,যে এপ্লিকেশন গুলা আমাদের প্রতিদিনের জীবনকে আরো সহজ করে তুলতে সাহায্য করতেছে। সো চলুন শুরু করা যাক :
১। মেজার -Measure
এটি অগমেন্টেড রিয়েলিটির চমৎকার একটি উদাহরণ। এর সাহায্যে মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে এআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে আশেপাশের বিভিন্ন জিনিসের মধ্যকার দূরত্ব, আকার-আকৃতি পরিমাপ করতে পারবেন। তবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে আপনার ফোনে গুগলের এআর কোর ফিচার সাপোর্ট থাকতে হবে।
২। ফাইলস-Files
এই অ্যাপটি প্রথমে ফাইলস গো নামে এন্ড্রয়েড গো এডিশনের সাথে ডিফল্ট ফাইল ম্যানেজার হিসেবে এসেছিলো। পরে অন্যান্য এন্ড্রয়েড ফোনের জন্য গুগল একে প্লে স্টোরে উন্মুক্ত করে দেয়। এটি শুধু একটি ফাইল ম্যানেজারই নয়, বরং এর সাহায্যে ফোনের জাঙ্ক ফাইল রিমুভও করতে পারবেন। তাছাড়া এতে ক্লাউডে ব্যাকআপ রাখা এবং শেয়ারইট এর মতো ফাইল সেন্ড করার ব্যবস্থাও থাকছে।
৩। মাই ম্যাপস-Google My Maps
গুগল ম্যাপস আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী হলেও মাই ম্যাপস নামের এই অ্যাপটির কথা অনেকেই জানি না। এটি আসলে নিজের মতো করে ম্যাপ তৈরী করার একটি টুল। এর মাধ্যমে আপনি নিজের ইচ্ছামত পয়েন্টার ব্যবহার করে কোন এরিয়ার পার্সোনালাইজড ম্যাপ বানাতে পারবেন।
৪। নেইবারলি
এই অ্যাপটি প্লে স্টোরে এখনো পরীক্ষামূলক ভাবে আছে। তবে এটি খুবই চমৎকার একটি অ্যাপ। একই সাথে এটি অনেক সম্ভাবনাময়। অ্যাপটি অনেকটা কোরা বা এই ধরনের নলেজ শেয়ারিং টাইপের অ্যাপ। এখানে কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গা সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন করতে পারে এবং অন্য ব্যবহারকারীরা উত্তর দিতে পারে। এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হলে এটি হয়তো কোন এলাকায় নতুন বাসিন্দাদের খুব উপকারে আসবে।
৫। এক্সপেডিশনস
এটা অনেকটাই অপরিচিত অ্যাপ। স্ট্যান্ডঅ্যালোন অ্যাপ হওয়াতে গুগল এটার মার্কেটিংও করেনা তেমনভাবে। এটি মূলত একটি ভার্চুয়াল রিয়েলিটি অ্যাপ। এর সাহায্যে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান থেকে শুরু করে মহাকাশে পর্যন্ত ভার্চুয়াল রিয়েলিটির সাহায্যে ঘুরে দেখতে পারবেন। বাচ্চাদেরকে শেখাতে এই অ্যাপটি বেশ কাজে লাগবে। পাশাপাশি প্রাপ্তবয়স্করাও এটি ব্যবহার করে মজা পাবেন।
৬। ফটোস্ক্যান-PhotoScan
এটি মূলত একটি ক্যামেরা অ্যাপ। তবে এই অ্যাপটি আপনার ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে কোন ডকুমেন্ট বা প্রিন্ট করা ছবি স্ক্যান করে ডিজিটালাইজড করতে সাহায্য করবে। এটি কোন বড় ডকুমেন্ট এর আলাদা আলাদা অংশ আলাদাভাবে ছবি তুলে নিজেই জোড়া লাগিয়ে হাই-কোয়ালিটি আউটপুট তৈরি করে থাকে। তাছাড়া অটো ক্রপিং, গ্লেয়ার রিমুভাল সহ বেশ কিছু ফিচার আছে এতে। ঘরে পড়ে থাকা পুরোনো ছবি কিংবা দলিলপত্র ডিজিটাল করতে বেশ কাজে লাগবে এটি।
৭। টুনট্যাস্টিক 3D -Toontastic 3D
এটি মূলত বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে তৈরী করা হলেও, সব বয়সের মানুষই এটা ব্যবহার করে মজা পাবে। এর মাধ্যমে কিছু সহজ ড্র্যাগ এন্ড ড্রপ টুলের সাহায্যে থ্রিডি এনিমেশন বানানো যায়। সেই সাথে আপনার নিজের ভয়েস রেকর্ড করেও এনিমেশনে যোগ করতে পারবেন।
৮। কার্ডবোর্ড ক্যামেরা-Cardboard
এটিও একটি ক্যামেরা অ্যাপ। এর মাধ্যমে আপনি কোন জায়গার থ্রিডি ছবি তুলতে পারবেন। মজার ব্যাপার হলো, ছবির সাথে আপনি সেই জায়গার পারিপার্শ্বিক শব্দও রেকর্ড করতে পারবেন। পরে এই অ্যাপ ব্যবহার করেই ভিআর গগলস ব্যবহার করে সেগুলো দেখতে পারবেন।
৯। স্পটলাইট স্টোরিজ-Google Spotlight Stories
এই অ্যাপে গুগল কিছু থ্রিডি এনিমেশনের সাহায্যে ৩৬০ ডিগ্রী মুভি তৈরী করে রেখেছে। এসব মুভির মাধ্যমে আপনি থ্রিডি দৃশ্য ও সাউন্ড এর চমৎকার এক্সপেরিয়েন্স নিতে পারবেন। অ্যাপটি শুধুই বিনোদনের জন্য। এখনো এখানে খুব বেশি পরিমাণে স্টোরি যুক্ত করেনি গুগল। তবে যেগুলো আছে আপাতত সেগুলোই টেস্ট করে দেখতে পারেন।
১০। আর্টস এন্ড কালচার-Google Arts & Culture
যারা ইতিহাস নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন তা দের জন্য পছন্দর একটি অ্যাপ হতে যাচ্ছে এটি। এর মাধ্যমে ৮৫০টিরও বেশি আর্কাইভ থেকে বিভিন্ন শিল্প ও ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন যাদুঘরে ভার্চুয়াল ভ্রমণও করতে পারবেন।